রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
পথচারীদের অভিযোগ, প্রায় এক মাস ধরে সেতুর এ অবস্থা থাকলেও এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে সেতুটির ধসে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সোমেশ্বরী নদী থেকে বালু বোঝাই করে একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় সেতুটির মাঝের এক স্থানে ধসে পড়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এর পরদিন আবারও অতিরিক্ত ওজনের বালুবোঝাই ট্রাক ওপর উঠলে আরেকটি অংশে ধসের ঘটনা ঘটে। ওই সময় এলজিইডির উপজেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ভেঙে যাওয়া অংশে সিমেন্ট ও সুরকি দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়। কিন্তু মাসখানেক আগে আবারও ওই দুটি অংশে ধসের ঘটনা ঘটে।
দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শাহানুর আলম বলেন, সেতুটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। আমি আর কি করতে পারি।
এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে এই সেতু পার হন। সেতুর ওপর দিয়ে ওভারলোড বালু ও পথরবোঝাই ট্রাক-লরি চলাচল করার কারণে সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান বলেন, বুরুঙ্গা সেতু ভাঙার খবর পেয়েছি। ওই এলাকার কিছু সেতু ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্বল হয়ে গেছে। সেতুটিতে সাত টনের ওপার মালামাল পার করার নিষেধ করা হলেও তা মানছে না। সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হয়েছে।